এদেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠী বাহ্যিকতায় বাইরে থেকে নয়- ভেতর থেকেই দেখেছে চিরকাল, যাঁরা পৃথিবীকে বসুমাতা বলে জানে। স্বকীয় সত্তায় তাঁরা মহান এক সংস্কৃতির উত্তরাধিকারে বৈশ্বিক বোধের বাহক। মাতৃবোধের স্মারকেই তাঁরা রক্ষা করেছে ভাষাসহ দেশরূপী মাতা- মাতৃভূমিকে। নিজের মা-কে না জানলে জগতের সকল মা অজানাই থাকে; নিজের মাতৃভূমিকে না চিনলে ধরিত্রীকে চেনা হয় না কোনো কালে।
আপন ভাষাতেই আমরা শিখি বিদেশী ভাষা- সে ভাষাও হয়ে ওঠে একসময় নিজেরই ভাষা; কোনো দেশের মুক্তি আজ আর শুধু সেই দেশের মানচিত্রিক সীমানার সাথে যুক্ত নয় বরং বিশ্ব মানবসমাজের সংহতি ও অখণ্ড তাতেই সে সংহত- মুক্ত।
অস্তহীন সূর্যের ছায়ে সমগ্র ভূ-পৃষ্ঠ আজ সামগ্রিক মানুষের- অথচ অখণ্ড বিশ্ববোধের সেই কাঠামোগত দিকটা এখনও অনুপস্থিত।
আজকের বাংলাদেশ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ধারাকে যথার্থতায় স্থাপন করতে- জ্ঞানে বৈশ্বিক প্রয়োগে স্থানিক (Global Knowledge Local Act) তথা বিকেন্দ্রীভূত-কেন্দ্রীকরণ সংগঠন-কাঠামো প্রতিষ্ঠায় চলমান বিশ্ব রাজনীতির সংকট সমাধানে মহান এক শুভ উদ্বোধক হয়ে উঠুক, আর মহতী সেই রাজনৈতিক দিশায় পৃথিবী জেগে উঠুক!
সেই প্রত্যয় আর প্রত্যাশায় স্বাগতম- ২০১৭! সু-স্বাগতম উদয়ের নতুন বছর- নতুন সূর্যকে।