১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১, বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যূদয়। এটা ছিল দল-মত নির্বিশেষ সাংস্কৃতিক আন্দোলন তথা ‘৫২র ভাষা আন্দোলনেরই রাজনৈতিক পরিণতি মাত্র। সূচনায় থাকা সেই ৫২র ২১শে ফেব্রুয়ারি ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক মাত্রায় বৈশ্বিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃত; অতঃপর আজ স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান দামামা- বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণও বিশ্ব স্বীকৃত! আমাদের ইতিহাসে যা সাড়ে সাত কোটি মানুষ- একটি মানুষে একীভূত হবার, এক দেশ এক জাতি এক নেতা হয়ে উঠার অনির্বাণীয় প্রামাণিক দলিল।
অতএব …‘নিঃসন্দেহে বঙ্গবন্ধু ব্যক্তি নন কিংবা কোন দলের নন- তিনি সর্বদা নৈর্ব্যক্তিক সত্যে আমাদের জাতীয় নিক্তি। ইতিহাসকে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় না যেভাবে- সেভাবেই সাত কোটি থেকে ষোল কোটি… কিংবা তিনি হয়ে থাকেন তার চেয়েও ততোধিক।“... (গত ১৫ই আগস্ট ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘‘কহতব্য‘- এ প্রকাশিত) আমাদের পূর্বোক্ত সেই প্রত্যয় এখন বিশ্ব স্বীকৃতিতে বৈশ্বিক সত্যে পরিগণিত।
এভাবে বাংলাদেশ ও তার জাতীয় রাজনীতির ইতিহাস ক্রমশঃ আগামী পৃথিবীর জন্য রাজনৈতিক দিশা হয়ে উঠুক- প্রাপ্তির আনন্দের সাথেই সেই প্রত্যাশাও আজ পূনর্ব্যক্ত হোক।